ভারতের মধ্যপ্রদেশের খারগোন শহরে রাম নবমী মিছিলে গতকাল রোববার ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনার পর শহরটির তিনটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। খারগোনের ডিসট্রিক্ট কালেক্টর অনুগ্রহ পি-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
অনুগ্রহ পি বলেন, ‘গতকাল খারগোনে একটি রাম নবমী মিছিলে পাথর নিক্ষেপ ও কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এরপর শহরের তালাব চক এবং তাবদিসহ তিনটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।’
পুরো শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে শহরে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সহিংসতা এড়াতে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা রামের জন্মদিন উদ্যাপনের উৎসব হিসেবে ‘রাম নবমী’ উদযাপন করা হয়। গতকাল রোববার তালাব চক এলাকা থেকে রাম নবমীর মিছিল শুরু হলে মিছিলকে লক্ষ্য করে অজ্ঞাত কয়েকজন পাথর ছুড়তে শুরু করে। তারা কয়েকটি গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে।
শহরের অতিরিক্ত কালেক্টর এস এস মুজালদে বলেন, ‘মিছিলটি খারগোন শহর প্রদক্ষিণ করার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথে সহিংসতার মধ্যে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, মিছিলটি একটি মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তখন মিছিল থেকে লাউডস্পিকারে গান বাজানো নিয়ে বাসিন্দারা আপত্তি জানান এবং পাথর ছুড়তে শুরু করেন বলে মিছিলকারীরা অভিযোগ করেছেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু যুবক পাথর নিক্ষেপ করছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে এবং পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে। পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ চৌধুরীসহ বহু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সিদ্ধার্থ চৌধুরীর পায়ে পাথরের আঘাত লেগেছে এবং রক্তাক্ত পায়ে তাঁকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এ সহিংসতায় স্থানীয় থানার পরিদর্শকসহ দুজন পুলিশ এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন।