অনলাইন ডেস্ক
ভারতকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করার পক্ষে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও একই বিষয়ে কথা বলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতসহ অন্য কয়েকটি দেশের অন্তর্ভুক্তি পরিষদকে আরও প্রতিনিধিত্বশীল করবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি সিস্টেমটিকে সবচেয়ে দরিদ্র ও সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য এগিয়ে নিতে চাই, তবে তাদের কণ্ঠস্বর অবশ্যই আমলে নেওয়া উচিত। যাদের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদের জন্য আমাদের সিস্টেমকে আরও বেশি প্রতিনিধিত্বশীল এবং আরও প্রতিক্রিয়াশীল করতে হবে। তাই আমরা কেবল ন্যায্য ফলাফলের জন্য লড়ব না।’
কিয়ার স্টারমার আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আরও বেশি প্রতিনিধিত্বমূলক কাঠামো হয়ে উঠতে হবে, যেটি সদিচ্ছা দিয়ে পরিচালিত হবে, কোনো ধরনের রাজনীতি দিয়ে পঙ্গু হয়ে থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলে স্থায়ী আফ্রিকান প্রতিনিধিত্ব দেখতে চাই। ব্রাজিল, ভারত, জাপান ও জার্মানিকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে এবং নির্বাচিত সদস্যদের জন্য আরও বেশি আসন দেখতে চাই।’
এর আগে, গতকাল বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের পক্ষে ওকালতি করেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি নিরাপত্তা পরিষদ আছে, যা অবরুদ্ধ...আসুন আমরা জাতিসংঘকে আরও কার্যকর করে তুলি। আমাদের এটিকে আরও প্রতিনিধিত্বশীল করতে হবে।’
মাখোঁ আরও বলেন, ‘আর সে কারণেই ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রসারণের পক্ষে। জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিলের স্থায়ী সদস্য হওয়া উচিত, সেই সঙ্গে আফ্রিকা থেকে দুটি দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত, যার সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।’
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। ভারতের যুক্তি, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদ ২১ শতকের উদ্দেশ্যের জন্য উপযুক্ত নয় এবং সমসাময়িক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে না।
বর্তমানে মাত্র পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং তাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। এগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য। পাঁচ স্থায়ী সদস্য ছাড়াও এতে ১০টি অস্থায়ী সদস্য রয়েছে, যারা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটে দুই বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়। ভারত সর্বশেষ ২০২১-২২ সালে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়েছিল।