অনলাইন ডেস্ক
হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচার করাতে যাওয়ার রোগীদের মধ্যরাতে ঘুম ভাঙিয়ে ফোন নম্বর ও ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) নিয়েছেন এক ব্যক্তি। এরপর রোগীরা জানতে পারেন তিনি বিজেপির সদস্য হয়ে গেছেন! গুজরাটের রাজকোটের এক চক্ষু হাসপাতালে এভাবেই ৩৫০ জন রোগীকে তাঁদের অজান্তে বিজেপির সদস্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কমলেশ ঠুম্মার নামে এক ব্যক্তি চোখের অস্ত্রোপচার করাতে ভর্তি হয়েছিলেন রাজকোটের রানছোড় দাস হাসপাতালে। তাঁর পাশাপাশি সেখানে ভর্তি ছিলেন আরও ৩৫০ জন। কমলেশ সংবাদকর্মীদের বলেন, মাঝরাতে ওই হাসপাতালে উপস্থিত হন এক যুবক। ঘুমিয়ে থাকা রোগীদের ডেকে তুলে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ফোন নম্বর ও ওটিপি। দাবি মতো নম্বর ও ওটিপি দেওয়ার পর আমাদের ফোনে মেসেজ আসে আমরা বিজেপির সদস্য হয়ে গেছি!
কমলেশ দাবি করেন, সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান তিনি। তখন ওই যুবক স্বীকার করেন তাঁরা বিজেপি কর্মী এবং রোগীদের দলের সদস্য করা হচ্ছে।
না জানিয়ে কেন তাঁদের বিজেপির সদস্য করা হচ্ছে—এ প্রশ্ন তুললে ওই বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপির সদস্য না হলে কারও নিস্তার নেই! এমন হুমকি দেওয়ার পর আর বাকিরা আপত্তি করার সাহস পাননি।
গোপনে সেই ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেন কমলেশ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। ঘটনার নিন্দায় সরব হন বিরোধীরা।
পরে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, যে ব্যক্তিকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি হাসপাতালের কর্মী নন, রোগীর পরিবারের কেউ হতে পারেন। তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছেন।
তবে এভাবে কাউকে সদস্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গুজরাট বিজেপির সহ–সভাপতি গোর্ধন জাদাফিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কাউকে ভুল বুঝিয়ে দলের সদস্য বানাই না। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তদন্ত করব।’