জম্মু ও কাশ্মীরে আজ রোববার আটক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য তালিব হোসেন শাহ বিজেপির সক্রিয় সদস্য! তিনি জম্মুতে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জও ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিব হোসেন ও তাঁর এক সহযোগীকে আজ সকালে জম্মুর রিয়াসি এলাকায় গ্রামবাসীরা আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, বেশ কয়েকটি গ্রেনেড এবং অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
বিজেপি এখন দলের অনলাইন সেলের সদস্য বাছাই ব্যবস্থাকে দায়ী করছে। অতীত ইতিহাস যাচাই না করেই লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বিজেপির মুখপাত্র আরএস পাঠানিয়া এক বিবৃবিতে বলেছেন, ‘এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে একটি নতুন সমস্যা সামনে এসেছে। আমি বলব, বিজেপিতে প্রবেশ করা, প্রবেশাধিকার লাভ করা, রেকি করা—এটি একটি নতুন মডেল। শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রও ছিল এখানে। পুলিশ সেটি নস্যাৎ করেছে।’
এ বিজেপি নেতা বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে, যারা সন্ত্রাস ছড়াতে চায়, তাদের যে কেউ অনলাইনে বিজেপির সদস্য হতে পারে। আমি বলব এটি একটি ত্রুটি কারণ সেখানে অপরাধমূলক রেকর্ড বা পূর্ব ইতিহাস যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে সদস্যপদ নিচ্ছি, কোনো যাচাই ছাড়াই।’
গত ৯ মে তালিব হোসেনকে জম্মু প্রদেশে দলের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত করে বিজেপি। জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা থেকে এমন বিবৃতিই দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়নাসহ বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে তালিব হোসেন শাহের বেশ কয়েকটি ছবি রয়েছে।
এদিকে জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক টুইটে জানিয়েছেন, তালিব হোসেনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য রিয়াসি গ্রামবাসীদের জন্য নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা ২ লাখ রুপি পুরস্কার পাবেন।
পুলিশ বলছে, রাজৌরি জেলায় দুটি বিস্ফোরণ এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তালিব হোসেন পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন।