হোম > বিশ্ব > ভারত

ভিক্ষা করে মুম্বাইয়ের অন্যতম ধনী তিনি, ভারতে কোটিপতি ভিক্ষুক আছেন আরও

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের ভিক্ষাবৃত্তি শিল্পের আকার দেড় লাখ কোটি রুপির সমান! ছবি: পিক্সাবে

ভারত জৈন মুম্বাইয়ের রাস্তায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভিক্ষা করেছেন। বর্তমানে শহরের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি!

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, জৈনকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি মুম্বাইয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিক। এর মধ্যে দুটি ফ্ল্যাটের মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি এবং দুটি দোকান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া পান ৩০ হাজার রুপি।

চরম দারিদ্র্য থেকে ধনী হওয়ার এই যাত্রার পেছনে রয়েছে দৃঢ়সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং বুদ্ধিদীপ্ত আর্থিক ব্যবস্থাপনা। এক অনন্য দর্শনই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।

জৈন সাধারণ কোনো ভিক্ষুক নন, তাঁর গল্প আমাদের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। ভিক্ষাবৃত্তি শুধুই দারিদ্র্যের চিহ্ন নয়, বরং অপ্রচলিত পেশায়ও সাফল্য অর্জন সম্ভব সেটি তিনি দেখিয়েছেন।

জৈনের জীবন দারিদ্র্যে শুরু হয়। তাঁর শিক্ষার সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত। তবে কঠোর পরিশ্রম এবং সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁর এই পেশায় সফলতা অনেক বেতনভুক্ত ব্যক্তিকেও ছাড়িয়ে গেছে।

জৈন ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভিক্ষাবৃত্তিকে তাঁর আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার রুপি আয় করেন। প্রতিদিন তাঁর আয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ রুপি পর্যন্ত। স্পষ্টত, তাঁর এই আর্থিক সফলতার পুরোটাই মানুষের উদারতার ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে।

জৈনের সম্পদ এখন শুধু ভিক্ষাবৃত্তি থেকে আসে না। তিনি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত চতুর ও বিচক্ষণ। দুটি ফ্ল্যাট এবং দুটি দোকান রয়েছে তাঁর। থানের দোকান দুটি থেকে মাসিক ৩০ হাজার রুপি ভাড়া আসে। এই সম্পত্তি থেকে পরিবারের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলেছেন তিনি।

অপ্রচলিত পেশা সত্ত্বেও জৈন তাঁর পরিবারের কল্যাণকেই সব সময় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলে ভালো শিক্ষা পেয়েছেন। এখন পারিবারিক ব্যবসায় তাঁরা ব্যস্ত থাকেন। একটি স্টেশনারি দোকান চালান তাঁরা।

জৈনের ভিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি অনন্য। তিনি এটিকে প্রয়োজন নয়, বরং একটি স্বাধীন পছন্দ হিসেবে দেখেন। তিনি তাঁর আয় থেকে মন্দির এবং দাতব্য কাজে দান করে সমাজের প্রতি তাঁর ঋণ শোধ করেন। বোঝাই যায়, তাঁর এই দাতব্য মনোভাব প্রচলিত ভিক্ষুকদের ধারণার বিপরীত।

অবশ্য ভারতবর্ষে জৈনের গল্প অনন্য নয়। ভারতে ভিক্ষাবৃত্তি রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। এই শিল্পের আকার বহু কোটি রুপি। এক হিসাবে পাওয়া যায়, ভারতের ভিক্ষাবৃত্তি শিল্পের আকার প্রায় ১ দশমিক ৫ লাখ কোটি রুপি! অনেক ভিক্ষুক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্ভাজি কালের ১ দশমিক ৫ কোটি রুপি এবং লক্ষ্মী দাসের ১ কোটি রুপি সম্পদ রয়েছে। এই দুজনের মতো আরও কোটিপতি নয়তো অন্তত লাখোপতি ভিক্ষুক রয়েছেন। ভারতের একটি সমৃদ্ধ গোপন অর্থনীতি বলা যায় এটিকে। ভিক্ষাবৃত্তি নিঃসন্দেহে এখানে লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে।

জৈনের সাফল্যের গল্প অনুপ্রেরণাদায়ক হলেও ভিক্ষাবৃত্তির একটা অন্ধকার দিকও রয়েছে। অনেক ভিক্ষুক, বিশেষ করে দুর্বল ব্যক্তিরা, সংগঠিত অপরাধ চক্রের হাতে শোষিত ও নির্যাতিত হন। সরকার এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করার চেষ্টা করলেও এর বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ যেমন: জরিমানা এবং গ্রেপ্তারের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া যায়নি।

মহাসাগরে ‘চীনের আধিপত্য’ ঠেকানোই এখন ভারতের মূল অগ্রাধিকার: রাজনাথ সিং

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নিহত ১২ ও নিখোঁজ ১৬ ভারতীয়, জানাল মোদি সরকার

হোয়াইট হাউস আক্রমণের চেষ্টা: ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাৎসি যুবকের ৮ বছরের জেল

ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ে ১২ মাওবাদী নিহত

কুম্ভমেলার ভাইরাল সাধুরা: আইআইটি বাবা থেকে অ্যাম্বাসেডর বাবা

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের ঘোষণার পরপরই আদানির শেয়ারে ব্যাপক উল্লম্ফন

ভাইরাল আইআইটি বাবা একদিন বাড়ি ফিরবেন, আশা পরিবারের

নির্বাচন নিয়ে জাকারবার্গের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল মেটা ইন্ডিয়া

মহাকুম্ভ মেলায় ভাইরাল কে এই ‘সুন্দর সাধ্বী’

মধ্যপ্রদেশে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বে মেয়েকে গুলি করে মারলেন বাবা

সেকশন