কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ ভারত চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাবেক সভাপতি ও গান্ধী পরিবারের অন্যতম সদস্য রাহুল গান্ধী। সোমবার ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরে এক জনসভার এই কথা বলেন তিনি।
উদয়পুরের জনসভায় রাহুল বলেন, বিজেপি চায় বিভাজন। তাই বিজেপির শাসনে বিভাজন বাড়ছে। কিন্তু কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ ভারতের জন্য লড়াই করছে। তাঁর অভিযোগ, বিভাজনের রাজনীতি করে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন দেশটির বর্তমান প্রধান নরেন্দ্র মোদী।
রাহুল গান্ধী আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির শাসনে ভারতে শিল্পপতিরা উপকৃত হলেও গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে।
এদিকে, রাজস্থানের উদয়পুরেই কংগ্রেস দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে আয়োজন করেছিল তিন দিনের চিন্তন শিবির। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৪০০ নেতা এই শিবিরে যোগ দেন। মূলত, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর কৌশল নির্ধারণ ও দলকে শক্তিশালী করাই ছিল এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য।
১৩ মে দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চিন্তন শিবিরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। সেদিন এক ভাষণে রাহুল গান্ধী উল্লেখ করেন, বিজেপির বিভাজনের বিপরীতে একতাই হবে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয়। চিন্তন শিবিরেই দলটি ঠিক করেছে, এখন থেকে একটি পরিবারে একজন মাত্র ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার নীতি চালু করা হবে। গঠন করা হতে পারে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি বোর্ড।
চিন্তন শিবিরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলীয় নেতাদের মধ্যে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। সামনে আনা হবে দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের। দলীয় পদ-পদবিতে অন্তত ৫০ ভাগ দেওয়া হতে পারে তাদের। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে গান্ধী পরিবারের প্রভাব অটুট থাকছে।