অনলাইন ডেস্ক
ভারতের হিমাচল রাজ্যে হঠাৎ ভারী বর্ষণে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ হয়েছেন আরও অন্তত ৫৩ জন। রাজ্যের সিমলা, মান্ডি ও কুল্লু জেলায় মেঘবিস্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু নিহত ও নিখোঁজের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভারী বর্ষণে রাজ্যের তিনটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর, স্কুল, হাসপাতাল। ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। কুল্লু ও মান্ডিতে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মানালির যোগাযোগব্যবস্থা স্থগিত হয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, কর্মকর্তাদের সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ডিসি ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা সেনাবাহিনীর সাহায্যও চেয়েছি। আমি জনগণকে খাল ও নদীর ধারে না যাওয়ার জন্য আবেদন করছি। বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
হিমাচলের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী সিমলায় সমেজে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে হঠাৎ ভারী বর্ষণের পরে অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সিমলা থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দূরে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। মান্ডির জেলা প্রশাসক অপূর্ব দেবগনের জারি করা একটি আদেশে বলা হয়েছে, মুহাল তেরংয়ের কাছে রাজবন গ্রামে ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মান্ডির পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বলেছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
উল্লেখ্য, হঠাৎ ভারী বর্ষণ বা ইংরেজিতে ক্লাউডবার্স্ট হলো এমন এক পরিস্থিতি যখন আকাশের মেঘ ঘণীভূত হয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টির পরিবর্তে ব্যাপক আকারে বিপুল পরিমাণ পানি নিয়ে কোনো একটি স্থানে পতিত হয়। কখনো কখনো ভারী বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাত হলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে।