বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন ও কনস্যুলেটগুলো থেকে নিজেদের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। আজ বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারত বাংলাদেশে অবস্থিত হাইকমিশন ও কনস্যুলেট থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে। বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে অপ্রয়োজনীয় স্টাফ ও পরিবারদের সদস্যরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছেন।
এর আগে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস, কনস্যুলেট থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যম।
বুধবার ভারতের দুটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশে তার দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় স্টাফ ও তাঁদের পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে সমস্ত ভারতীয় কূটনীতিক বাংলাদেশে রয়েছেন এবং মিশনগুলো কার্যকর রয়েছে বলেও সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে।
অন্যদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ছয় শিশুসহ ২০৫ জন ভারতে গেছেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে বর্তমানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন সিনিয়র স্টাফ রয়েছেন। হাইকমিশন ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনায় কনস্যুলেট রয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে হাসিনা গত সোমবার পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে যান। সেখান থেকে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে তিনি লন্ডনে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।
এ ছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।