ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের জালাউনের এক নার্সকে দুই ব্যক্তি নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছে। কেবল তাই নয়, ধর্ষণের পর সেই নার্সের গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়াও ছিটানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের সময় ওই নারীকে আরও ৪ ব্যক্তি ধরে রেখেছিল। নারীর পরিবার দাবি, তাঁকে লাঠিপেটা করা হয়েছে এবং ধর্ষণের পর তাঁর গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো ছিটানো হয়।
স্থানীয় পুলিশ বলেছে, ওই নারীর সঙ্গে এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল এবং সেই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সেই নারীকে মারধর করেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই নারীর গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী চুরখি থানার অধীনে থাকা একটি এলাকায় স্টাফ নার্স হিসেবে কাজ করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি স্কুটারে করে কাজে যাচ্ছিলেন, তখন কিছু লোক তাঁকে পথ থেকে জোরপূর্বক টেনে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়।
ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী একজন নার্স। তিনি সকাল ৯টার দিকে কাজে যাচ্ছিলেন। পরে তিনি আমাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। এক ব্যক্তি, তাঁর ভাতিজা এবং আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করেছে। চারজন তাঁকে ধরে রাখে এবং দুজন তাঁকে ধর্ষণ করে। তাঁকে লাঠি পেটানো হয়েছে এবং মরিচের গুঁড়োও গোপনাঙ্গে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
জালাউনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার বার্মা এই ঘটনার বিষয়ে বলেছেন, ‘এক নারীকে মারধর করা হয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
প্রদীপ কুমার আরও বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে একই গ্রামের এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল। সেই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মারধর করেছে। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তিনি কিছু গুরুতর অভিযোগ করেছেন। আমরা একটি মামলা দায়ের করেছি এবং তদন্ত চলছে।’