ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে ঘিরে নাটক জমে উঠেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে গিয়ে বিগত ২৪ ঘণ্টা ধরে খোঁজ নেই তাঁর। এদিকে তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্থ পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেমন্ত সরেনকে ডাকা হয়েছিল দিল্লিতে। তিনি গিয়েছেনও। তাঁকে বহনকারী বিমান বিমানবন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে, তাঁকে নিতে যাওয়া বিএমডব্লিউ গাড়িটিও জব্দ করেছে ইডি। এমনকি তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।
এই অবস্থায় ইডি কর্মকর্তারা মনে করছেন, নিখোঁজ হয়েছেন হেমন্ত সরেন। তবে হেমন্ত সরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা-কর্মী ও ঘনিষ্ঠজনেরা দাবি করেছেন, তাঁরা তাঁর অবস্থানের বিষয়ে অবগত। তিনি তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছেন।
ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, হেমন্ত সরেন কোথায় আছেন তাঁরা তা জানেন না। রাঁচি থেকে দিল্লিতে তাঁকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বিমানবন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর এবং তাঁর কর্মকর্তাদের ফোনগুলোও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর গাড়ির চালককেও আটক করে বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
ইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁর গাড়ি ও বিমান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র ও ৩৬ লাখ রুপি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ইডির দল হেমন্ত সরেনের দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে, কিন্তু তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি সর্বশেষ গত রোববার রাতে তাঁর দিল্লির বাসভবন ত্যাগ করে চলে যান। তবে হেমন্ত সরেনের অফিস এক চিঠিতে ইডিকে জানিয়েছে, তিনি আগামীকাল বুধবার বেলা ১টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন।
এদিকে, বিজেপির ঝাড়খণ্ড ইউনিট দাবি করেছে, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন ‘পালিয়ে’ গেছেন। দলটি রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনকে বিষয়টি আমলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘এটা গভর্নরের কাজ এবং আমি এটা করছি। যথাসময়ে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’