কলকাতা প্রতিনিধি
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট–ইডির হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জৈনকে দিল্লির একটি আদালতে হাজির করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক অপরাধ তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সংস্থা ইডি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দিল্লির রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের কড়া সমালোচনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, সমস্ত নথিপত্র তিনি নিজে পরীক্ষা করে দেখেছেন, সত্যেন্দ্রর কোনো দোষ নেই।
তবে, দিল্লি ছাড়াও বিজেপিশাসিত নয় এমন রাজ্যগুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে একাধিক মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিবারই অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এসব মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, সম্প্রতি ভারতে বিরোধী দলের মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা বেশ বেড়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গের পর এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো দিল্লি। তবে কিছুদিন আগে নিজের দলের মন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করে নজির সৃষ্টি করেছিল পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টি। এবার সেই এএপিরই আরেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল ইডি।
তবে বিজেপি সরকারের দাবি এই গ্রেপ্তারের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
ভারতে সরকার বিরোধী দলের মন্ত্রীদের জেলে নেওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য সুস্মিতা দেব।
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। পাঞ্জাবে কংগ্রেস নেতা খুন হলে বা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নিষ্ক্রিয় থাকে।
এর আগে, গতকাল সোমবারই ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সত্যেন্দ্র জৈন।