এজাহারে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ উল্লেখ থাকা মানে যৌন নিপীড়ন নয়: দিল্লি হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক    

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০: ৪৪
দিল্লি হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

যৌন অপরাধের অভিযোগে শিশু সুরক্ষা আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে খালাস দিয়ে ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট বলেছেন, ভুক্তভোগী নাবালিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত।

ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর এই মামলার রায় দেয় আদালত। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, অভিযোগপত্রে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ উল্লেখ থাকা মানেই যৌন নিপীড়ন নয়।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শিশু সুরক্ষা আইনের ৩ ধারায় ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। বিচারপতি প্রতিভা এম সিং ও অমিত শর্মার বেঞ্চ আপিল শুনানি শেষে দণ্ডিত ব্যক্তিকে খালাস দেন।

রায় পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ভুক্তভোগী নাবালিকা অভিযুক্তের সঙ্গে ‘স্বেচ্ছায়’ গিয়েছিলেন। তবু বিচারিক আদালত কীভাবে যৌন নিপীড়ন প্রমাণিত না করে দোষী সাব্যস্ত করলেন, তা স্পষ্ট নয়।

আদালত রায়ে বলেন, এজাহারে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ বা ‘সম্পর্ক ছিল’ শব্দগুলো থাকলেই যৌন নিপীড়ন সাব্যস্ত হয় না। মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই তার প্রমাণ থাকতে হবে। আর রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে বাদীপক্ষের অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ আদালতকে নিতে হবে। কোনো অনুমাননির্ভর তথ্যের উপর ভরসা করে রায় ঘোষণা করা যাবে না।

রায়ে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী ১৮ বছরের নিচে বা নাবালিকা হলে এই আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলা করা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী ‘শারীরিক সম্পর্ক’ ছিল শব্দটি ব্যবহার করে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। মামলার বাদী অভিযোগের কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। তারপরও আদালত অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

শুধুমাত্র এইধরনের শব্দ ব্যবহার করে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনে করা ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলা কোনো অপরাধীর অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়। যদিও এই আইনে মামলার ক্ষেত্রে নাবালিকার সম্মতি ছিল কি না বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটি ব্যবহার করলেই মামলাটি যৌন নিপীড়নের মামলা হয়ে যায় না।

হাইকোর্ট বলেছেন, এই মামলার বিচারিক আদালতের রায়ে এমন কোনো যুক্তি বা উপযুক্ত প্রমাণ ছিল না, যা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে। তাই এই রায় বাতিল ঘোষণা করে, অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হলো।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ভুক্তভোগী নাবালিকার মা অভিযোগ করেন তার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেছেন। পরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফারিদাবাদে অভিযুক্তের সঙ্গে ওই নাবালিকাকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জম্মু–কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর গাড়ি খাদে, ৪ ভারতীয় সেনা নিহত

নারী মডেল পরিচয়ে ৭০০ তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব, ব্ল্যাকমেল করতে গিয়ে ধরা দিল্লির যুবক

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স: শেষ ভরসা ভুক্তভোগী পরিবারের ক্ষমা

বাংলাদেশের জলপথ সীমান্তে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসএফ, বসাচ্ছে ভাসমান চৌকি