ভারতের আসামে বিশ্ব গণ্ডার দিবসে প্রায় আড়াই হাজার গণ্ডারের শিং পোড়ানো হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাট জেলার বোকাখাতে ২ হাজার ৪৭৯টি গণ্ডারের শিং পোড়ানো হয়।
গণ্ডারের এসব শিং প্রায় ৪২ বছর ধরে আসামের সরকারি ট্রেজারিতে রাখা ছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শিং পোড়ানোর আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ২১ জন হিন্দু পুরোহিত। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিবছর গণ্ডারের শিং পোড়ানো হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গণ্ডারের শিংয়ের কোনো বাজারদর নেই। চোরাকারবারিদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতেই এগুলো পুড়িয়ে ফেলা হলো। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে এই বার্তাই দিতে চাইছি যে গণ্ডরের শিং শুধু চুলেরই পরিবর্তিত রূপ। এটির কোনো ঔষধি গুণ নেই। কোনো কুসংস্কার বা মিথের ওপর ভিত্তি করে এই বিরল প্রজাতির পশুকে হত্যা না করার ব্যাপারে সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জানান, গত চার বছরে আসামে চোরা শিকারিদের হাতে ২২টি গণ্ডার মারা গেছে। ছয় শতাধিক শিকারিকে আটক করেও এসব থামানো যাচ্ছে না। চোরাকারবারিদের বার্তা দিতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ২ হাজার ৬২৩টি গণ্ডারের শিং উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৯৪টি রাখা হয়েছে সংরক্ষণের জন্য। বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে ২১টি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভা ২ হাজার ৪৭৯টি শিং মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৯৭২ সালের বন্য প্রাণী আইন মেনে এই শিংদাহের আয়োজন করে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।