কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতীয় রাজনীতিতে কি গান্ধী পরিবারের আর কোনো প্রভাব নেই? বিধানসভা নির্বাচনে দেশটির পাঁচ রাজ্যের বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশ হতেই এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেস নেতারাই ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের হাতে সুরক্ষিত নয়। সাবেক মন্ত্রী গোলাম নবি আজাদ, শশী থারুর, কপিল সিব্বাল থেকে শুরু করে বহু প্রবীণ নেতা দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আগেই মুখ খুলেছেন। এবার পাঞ্জাব হাত ছাড়া হলে কংগ্রেসের কোন্দল আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ ছাড়া উত্তর প্রদেশ (ইউপি) নিয়ে বুথ ফেরত জরিপে যে ফলাফলের আভাস আসছে তাতে রাহুল গান্ধীর মতো প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরও যে ভোট জেতানোর মতো ক্যারিশমা নেই, সেটা মেনে নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। কারণ, ইউপির দায়িত্ব ছিল প্রিয়াঙ্কার কাঁধেই। তেমনি সমীক্ষা অনুযায়ী পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডেও বিজেপির দুর্বলতার ফায়দা তুলতে পারেনি কংগ্রেস। মণিপুরে ৫০ শতাংশেরও বেশি সংখ্যালঘু ভোট থাকলেও কংগ্রেস সুবিধা নিতে ব্যর্থ। গোয়ায় অবশ্য কিছুটা সুবিধা পেতে পারে দলটি। সব মিলিয়ে বিজেপির আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। আর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে উঠে আসতে পারে আম আদমি পার্টি।
উচ্চকক্ষে বিজেপির দাপট
ভারতের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চিরকালই সংখ্যালঘু। এবার পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে। ৩১ মার্চ রাজ্যসভার ১৩ আসনের ভোট। হিসাব বলছে, সেই ভোটে বিজেপির আসনসংখ্যা বাড়বে। ফলে নিজ শক্তিতে রাজ্যসভায়ও বিভিন্ন আইন পাস করাতে সুবিধা পারে মোদি সরকার।