অনলাইন ডেস্ক
ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চীন বিশেষজ্ঞ বিক্রম মিস্রি। গতকাল শুক্রবার তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত কুমার দোভালের অধীনে উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের অভিজ্ঞা থাকায় এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিক্রম মিস্রি। আগামী ১৫ জুলাই তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তিনি বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বিক্রম মিস্রি ১৯৬৪ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হিন্দু কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস অফিসার হন। তার আগে তিন বছর বিজ্ঞাপন জগতে কাজ করেছেন মিস্রি। ভারতের তিন প্রধানমন্ত্রী ইন্দরকুমার গুজরাল, মনমোহন সিং ও নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বেলজিয়াম, স্পেন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে বিক্রম মিস্রির। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। সে সময়ই পূর্ব লাদাখ সীমান্তের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলওসি) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চীনা সেনারা। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে সংঘর্ষের সময়ও তিনি চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
বিশ্লেষকদের অনুমান, মূলত সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাতের পর দুই দেশের মধ্যে যে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটি কাটিয়ে উঠে নতুন যাত্রার সূচনা করতেই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বিক্রম মিস্রিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতকে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সামরিক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।