চেন্নাই: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাম আর মমতায় সাপে নেউলে সম্পর্ক। টানা তিন দশক শাসন করা বামদের প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তামিলনাড়ুতে রাজনীতির ময়দানের এই উত্তাপে জল ঢেলে দিলেন এক যুগল। সেখানে একসঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘মমতা ব্যানার্জি’ আর ‘সোস্যালিজম’! বিয়ে করে এ সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন তাঁরা। আজ রোববার তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম শহরে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ে করেই বর (২৯) ঘোষণা দিয়েছে, ‘বাস্তবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে মোটেও প্রভাব ফেলবে না। আমরা একসঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়ে খুশি।’
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে তাঁদের এমন নামকরণের বিষয়েও মজার তথ্য দেওয়া হয়েছে। সোস্যালিজমের বাবা মোহন বলেন, বিয়ে করার আগেই সন্তানদের নাম ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন ভেঙে পড়ার উপক্রম তখন সন্তানদের এমন নাম রাখেন। এক ছেলে সোস্যালিজম, আর অন্য দুই ছেলের নাম কমিউনিজম ও লেনিনিজম। মোহন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই) সালেম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
অবশ্য কনে মমতার পরিবার ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেসের সমর্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখনই কনের বাবা–মা তাঁর নাম রাখেন মমতা ব্যানার্জি। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে বন্ধুরা এ নিয়ে খেপানো শুরু করলে মমতা তাঁর নামের তাৎপর্য বুঝতে পারেন। নামের সম্পর্কে কনে বলেন, ‘আমি অনেকবার তাঁকে খবরে দেখেছি। তিনি একজন শক্তিশালী নারী। আমি এটা খুব গর্বের সঙ্গেই বলি।’
প্রসঙ্গত, কনে মমতা ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক। বর সোস্যালিজম বিকম ডিগ্রিধারী এবং রূপার নূপুরের ব্যবসা করেন। তাঁরা দুজন পারিবারিক সূত্রেও আত্মীয়।
তামিলনাড়ুর সিপিআই প্রধান আর মুথারাসান, তিরুপ্পুর থেকে দলের এমপি কে সুব্বারায়ানসহ বেশ কয়েকজন কমিউনিস্ট নেতা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।