কংগ্রেসে জনসংযোগ কর্মসূচি ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করেছে রাজস্থানে। তারপরও ভাঙনের মেঘ দেখা দিয়েছে রাজস্থান কংগ্রেসে। রাজস্থান কংগ্রেসের দুই মুখ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শচীন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে।
দেশজুড়ে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারণা চালাতে ভারত জোড়ো যাত্রার নামে ১৫০ দিনের পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে নিজের দল কংগ্রেসের ভাঙন কিন্তু ঠেকাতে তিনি ব্যর্থ। কেরালায় কংগ্রেসের সভাপতি প্রার্থী শশী থারুরপন্থীদের বিদ্রোহের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজস্থানে শুরু হয়েছে নেতা বদলের দাবিতে প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল।
রাহুল গান্ধীকে সামনে পেয়ে আবারও সামনে এসেছে অশোক গেহলটকে সরিয়ে তাঁর বদলে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি। শচীন পাইলটের সমর্থনে মাথায় টুপি পরে রাস্তায় নেমেছেন শচীন পাইলটের সমর্থক এবং রাজস্থান কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতারা। তাঁদের দাবি, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে। কারণ, গত সেপ্টেম্বরে দলের নির্দেশ অমান্য করে অশোক গেহলটের সমর্থকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ঘটনা এখানেই থেমে নেই। বিদ্রোহীদের শাস্তি না হওয়ায় রাজস্থান থেকে দলের দায়িত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনও।
গত সেপ্টেম্বরে অশোককে দলের সভাপতি করে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টা করা হলে অশোকপন্থীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তাই শচীনপন্থীদের দাবি, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিতে হবে। রাজস্থানের প্রভাবশালী গুজ্জর নেতা বিজয়সিং বৈশালার দাবি, শচীনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হলেই রাহুল রাজস্থানে স্বাগত। শচীন সমর্থকেরা বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিলেও বসে নেই অশোক গেহলটপন্থীরা। এখন দেখার কীভাবে উভয় পক্ষকে শান্ত করে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।
এদিকে, দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানার দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা ম্যারি শশী ধর রেড্ডি স্থানীয় সময় আজ বুধবার দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্ব বা রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা যে দলের ভাঙন ঠেকাতে ব্যর্থ তা ।
ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে নিজের ক্ষমতায় কংগ্রেসের সরকার রয়েছে শুধুমাত্র রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে। দুই রাজ্যেই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলাতে দিশেহারা কংগ্রেস নেতৃত্ব।