হোম > বিশ্ব > ভারত

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য বিকৃত করেছে বিজেপি, দাবি মমতার

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি প্রতিবেশী বাংলাদেশ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটিকে বিকৃত করা হয়েছে এবং তিনি এমন কিছু বলেননি, যা বলা উচিত নয়। কারণ, তিনি দেশের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত। এ সময় তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উল্টো শিক্ষা নিতে বলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত রোববার পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় রাজনৈতিক সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে তিনি এও বলেন, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে। তবে এই মন্তব্যকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল অনাকাঙ্ক্ষিত বলে আখ্যা দেন। 

নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশে সৃষ্ট পরিস্থিতির ভুক্তভোগী যেমন—শিক্ষার্থী, ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশি কিংবা অন্য কোনো কাজে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্য করে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যকে বিজেপি এবং বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট অংশের লোকজন বিকৃত করেছে।’ 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা চেয়েছি যেকোনো সমস্যা এড়াতে। যেহেতু আসাম বর্ডারের কাছে দাঙ্গা ছিল এবং দেখতে পেয়েছি সীমান্ত পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২ হাজার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফেডারেল কাঠামো আমি খুব ভালোভাবেই জানি। আমি সাতবার এমপি ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। আমি অন্য কারও চেয়ে বৈদেশিক নীতি ভালো জানি। তারা যেন আমাকে শিক্ষা না দেয়, বরং তাদেরই সিস্টেম থেকে শেখা উচিত।’ 

এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ তারা যখন তিস্তা ও গঙ্গার (পদ্মা) পানি চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একতরফাভাবে কাজ করছিল, তখন মূল স্টেকহোল্ডারকে (পশ্চিমবঙ্গ) জড়িত করেনি। তারা এটা ভুলে গিয়েছিল।’ 

এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মমতার পূর্বতন মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’ এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

পরে সেদিন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জয়সওয়াল জানান, বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাঁরা একটি নোট পেয়েছেন। এ সময় ভারতীয় সংবিধানের কথা উল্লেখ করে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারের মন্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘পররাষ্ট্রসংক্রান্ত সবকিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। বিষয়টি রাজ্য তালিকা কিংবা যৌথ তালিকায় নেই। রয়েছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। তাই পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারেরই ন্যূনতম অধিকার নেই।’

‘হিন্দু রাষ্ট্র’ সংবিধানে থাকতে হবে না, এটি সূর্যোদয়ের মতোই সত্য: আরএসএস প্রধান

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ভারতেও

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা

কুয়াশার কারণে পশ্চিমবঙ্গের জনসভায় গেলেন না নরেন্দ্র মোদি

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি