অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত ২৯ মে ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলা হয়েছিল। তবে এই পরিমাপ সঠিক ছিল না বলে জানিয়েছেন দেশটির আর্থ সায়েন্স মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
আজ শনিবার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, দিল্লির ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা আবহাওয়া স্টেশনটির সেন্সর ত্রুটি ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) উত্তর-পশ্চিম দিল্লির মুঙ্গেশপুরে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডের ঘটনা তদন্ত করেছে।
এ নিয়ে মন্ত্রী এক এক্স পোস্টে তদন্তের বিশদ তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, গত ২৯ মে মুঙ্গেশপুরের ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি আইএমডি টিম দ্রুত তদন্ত করেছে। এতে সেন্সর ত্রুটির কারণে ৩ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা রেকর্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরলস নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবার জন্য বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ।
আইএমডির তদন্ত অনুসারে, মুঙ্গেশপুর আবহাওয়া কেন্দ্রে ২৯ মে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্ট্যান্ডার্ড যন্ত্রের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি ছিল। ওই দিনের সংশোধিত তাপমাত্রা এখন ৪৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে।
২৯ মে আইএমডির মহাপরিচালক এম মহাপাত্র বলেছিলেন, দিল্লিতে ২০টি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ স্টেশন রয়েছে এবং এই স্টেশনগুলোর মধ্যে ১৪টি ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। শুধু মুঙ্গেশপুর স্টেশন থেকে ‘অস্বাভাবিক’ তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্য এসেছে এবং এটি নিশ্চিত হওয়া দরকার। দিল্লির কিছু মানমন্দিরে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি দেখানো হয়েছে, তবে মুঙ্গেশপুরে তাপমাত্রা রেকর্ডের তদন্ত প্রয়োজন।
ওই সময় মন্ত্রী রিজিজু বলেছিলেন, ‘এটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত নয়। দিল্লিতে ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠা অসম্ভব। আইএমডিতে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংবাদ প্রতিবেদনটি যাচাই করতে বলা হয়েছে। সরকারি অবস্থান শিগগির বলা হবে।’
ভারতের অন্যান্য অঞ্চলগুলো উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডের দুটিই ছিল রাজস্থানের ফলোদিতে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৫০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া হরিয়ানার সিরসাতেও ৫০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।