ভারতের বিহার রাজ্যের চম্পারণ জেলায় ১০ জন মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া সেই বাঘটি অবশেষে মারা গেছে। স্থানীয় সময় আজ শনিবার রাতে বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে বাঘটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিহারের প্রধান বন্য প্রাণী তত্ত্বাবধায়ক প্রভাত কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের বাগাহায় বাঘটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দারাবাদ থেকে আনা বন বিভাগের একদল বন্দুকধারী শিকারির হাতে বাঘটির মৃত্যু হয়। তিনি বলেছেন, ‘বন বিভাগের কর্মীরা বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ এলাকা থেকে বাঘটিকে খাঁচায় ধরার চেষ্টা করেন। বাঘটি মানুষের বাসস্থানে হানা দিচ্ছিল বলে প্রমাণ থাকায় নিয়ম অনুসারে বাঘটিকে হত্যার আদেশ দেওয়া হয়।’
সরকারি সূত্রের খবর, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি বাঘটি। কিন্তু বাঘটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিহারের বন বিভাগের কর্মকর্তারা। চাম্পারণ জেলার বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ থেকে ওই বাঘটি লোকালয়ে এসে হামলা চালিয়ে প্রাণ সংহার করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিহারের প্রধান বন্য প্রাণী তত্ত্বাবধায়ক প্রভাত কুমার গুপ্ত বাঘটিকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশনা জারি করেছিলেন। গত শুক্রবার বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের উপকণ্ঠে ডুমরি গ্রামের সঞ্জয় মাহাতো বাঘের আক্রমণে আহত হলে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। অনেকেরই আশঙ্কা নেপাল বা অন্য কোনো রাজ্য থেকে বিহারে ঢুকে পড়েছে নরখাদক বাঘটি।
এর আগে, গত বুধবার দিবাগত রাতে ১২ বছরের এক কিশোরীকে টেনে নেয় বাঘটি। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘বাঘটি ওই কিশোরীর বিছানার মশারি টেনে ছিঁড়ে ফেলে কিশোরীটির ঘাড় তার দুই চোয়ালে আটকে নিয়ে চলে যায়। পরে আমরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করি।’
এদিকে, বাঘটিকে খুঁজে বের করতে আকাশে ওড়ানো হয়েছিল একঝাঁক আধুনিক ড্রোন। ৫০০ জনেরও বেশি বন্দুকধারী প্রহরী তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল।