অনলাইন ডেস্ক
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং রাজধানী দিল্লির কাছাকাছি একটি জেলা গুরগাঁও। ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে এই এলাকাটির বেশ সুনাম রয়েছে। তবে গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) পার্শ্ববর্তী নূহ জেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি শোভাযাত্রায় ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বিবাদ গুরগাঁওয়ে ছড়িয়ে পড়ে। দুদিন পেরিয়ে গেলেও গুরগাঁওয়ের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
আজ বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরগাঁও শহরের রাস্তা-ঘাট এখনো প্রায় ফাঁকা। কিছু রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাফেরাও দেখা যাচ্ছে না।
হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রা থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে সোম ও মঙ্গলবার—এই দুই দিনে একজন ইমাম ও দুজন নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন আহত হয়েছেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অর্ধশতাধিক মসজিদও। ভাঙচুর করা হয়েছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাত্তার বলেছেন, ‘সংঘর্ষের নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গুরগাঁওয়ের যে এলাকাটিতে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার ১০ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে গুগল ও আমেরিকান এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির অফিস।
জানা গেছে, গত সোমবার নূহ জেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা গুরগাঁও-আলওয়ার জাতীয় সড়কে এলে একদল যুবক বাধা দেয় এবং মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা আড়াই হাজার মানুষ নুলার মহাদেব মন্দিরে আশ্রয় নেন। তাদের গাড়িগুলো বাইরে পার্ক করে রাখা হয়। পরে উত্তেজিত কিছু মানুষ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সন্ধ্যার দিকে সহিংসতা গুরগাঁও-সোহনা হাইওয়েতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও বেশ কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হয়। এভাবে সংঘর্ষের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে।