বেকারত্বের হার বাড়ছে ভারতে। এটি নিয়ে বিরোধী দলগুলো থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদসহ সরকারের সমালোচনায় সরব অনেকেই। এমতাবস্থায় একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশটিতে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে মোদির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী সরকারকে ‘মহা জুমলা’ বা ‘মহা নির্বোধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এরই মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির সেনাবাহিনীতে ৪ বছরের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ‘অগ্নিপথ’ পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার তরুণ–যুবককে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন। সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছরের ৪৫ হাজার যুবক এই কর্মসূচিতে ৩০-৪০ হাজার রুপি মাসিক বেতনে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও অস্থায়ী চাকরির সুযোগ পাবেন।
তবে, বিরোধীদের দাবি সরকারের এই উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্যই নেওয়া হয়েছে। তাই দেড় বছর পর আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার।
রাহুল গান্ধী তাঁর এক টুইটে লিখেছেন, ‘৮ বছর আগে যেমন যুবকদের প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনি এখন আবার ১০ লাখ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এটি কেবল ‘জুমলাদের’ সরকার নয়, ‘মহা জুমলাদের’ সরকার। প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষজ্ঞ নন কিন্তু চাকরি নিয়ে ‘সংবাদ’ তৈরিতে বিশেষজ্ঞ।’
এদিকে, ভারতের মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনেকেই দায়ী করছেন মোদি সরকারকে। বিজেপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, এই কর্মসূচিকে তাঁরা মিশন হিসেবে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে সফল করতে এখন থেকেই তৎপরতা শুরু হয়েছে।