অনলাইন ডেস্ক
শরীরের বয়স কমিয়ে অমর হওয়ার প্রচেষ্টা করে সারা বিশ্বেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ব্রায়ান জনসন। গতকাল রোববার তিনি ‘ডোন্ট ডাই’ শিরোনামে একটি বইয়ের প্রচারণায় ভারতের মুম্বাই সফর করেছেন।
তবে ভারত সফরে বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলেন জনসন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন।
এক্স মাধ্যমে জনসন জানান, মুম্বাইয়ের বাতাস এতটাই দূষিত যে, হোটেল কক্ষে বাতাস পরিশোধক ব্যবস্থা এবং বাইরে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করার পরও তাঁর গলা আর চোখ জ্বালাপোড়া করেছে।
জনসন লিখেছেন, ‘গতকাল মুম্বাইয়ে এসেছি। হোটেল রুমে এয়ার পিউরিফায়ার এবং বাইরে এন-৯৫ মাস্ক পরেও গলা ও চোখ জ্বলছে। এটা বেশ গুরুতর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, আমি মনে করি।’
জনসন ওই বক্তব্যটি আসলে আরেকজনের পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছেন। এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, জনসন ওই মন্তব্যটি করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট দেবারঘ্য ডিডি দাসের একটি পোস্টের প্রতিক্রিয়ায়।
এক্সের এক পোস্টে ডিডি জানিয়েছিলেন, ভারতে অবস্থান করলে তাঁর চোখ বারবার জ্বলে ওঠে এবং নাক দিয়ে বারবার সর্দি বের হয়। জনসন তাঁর অভিজ্ঞতার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে মন্তব্যের ঘরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
ভারতের মুম্বাই শহর বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের সমস্যায় ভুগছে। শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রায়ই ২০০ অতিক্রম করে যায়। এর মানে হলো, সেখানকার বাতাসের মান ‘দুর্বল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। নির্মাণকাজ বৃদ্ধি, যানবাহনের নির্গমন এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
মুম্বাইয়ের ‘সোহো হাউসে’ একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন জনসন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত এই ইভেন্টের শিরোনাম ছিল ‘ডোন্ট ডাই’। একই নামে জনসন বয়স বাড়ার বিরুদ্ধে নিজের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো—মানুষের দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবনযাপনকে উৎসাহিত করা। ইভেন্টে জোমাটো সিইও দীপিন্দার গয়াল এবং কমেডিয়ান তন্ময় ভাটসহ অনেক বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১ হাজার ১০০ আবেদনপত্রের মধ্য থেকে মাত্র ৫০ জনকে বাছাই করে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওই ইভেন্টে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বয়স কমানোর পদ্ধতিগুলো নিয়ে অদ্ভুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছেন জনসন। তিনি ‘ব্লুপ্রিন্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। এই প্ল্যাটফর্ম বয়স কমানোর আধুনিক পদ্ধতিগুলো নিয়ে কাজ করে।
৪৫ বছর বয়সী জনসন তাঁর কিশোর ছেলের রক্তরস নিজের শরীরে গ্রহণের পাশাপাশি বয়স কমিয়ে রাখার নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাবার, ঘুম এবং ব্যায়ামের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলে প্রতি বছর ২০ লাখ ডলার ব্যয় করেন। তাঁর লক্ষ্য হলো—শরীরের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে দেওয়া কিংবা সম্ভব হলে, এই প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি উল্টে দেওয়া।