আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম, অরুণাচল ও মেঘালয়ে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় আসামে গৃহহীন হয়েছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে এই চার রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ।
নিহত ৩৯ জনের মধ্যে কেবল আসামেই মারা গিয়েছেন অন্তত ২৪ জন এবং প্রতিবেশী অরুণাচল, মেঘালয় ও মিজোরামে আগাম বন্যাসহ নানা দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫ জনের। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই হওয়া এই বন্যা চলে আসায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এই চার রাজ্যের প্রায় ৮ লাখ মানুষ।
আসামের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ধসের ফলে রাজ্যের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের পাশাপাশি বন্য পশুরাও বিপাকে পড়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় পশু উদ্যানে বন্যার ফলে বিপদে পড়েছে বাঘ, এক শৃঙ্গ গন্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বন্য পশুও।
আসামের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩১টি জেলাই বন্যাকবলিত। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো রাজ্যের ৪২১টি শরণার্থী শিবিরে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। বন্যাদুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাজে লাগানো হচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বিরোধীদলীয় নেতা দেবব্রত শইকিয়ার অভিযোগ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।