অনলাইন ডেস্ক
ভারতের দাঙ্গাকবলিত হরিয়ানায় একটি হিন্দু সংগঠনের মিছিলে হামলার অভিযোগ তুলে প্রায় আড়াই শ কুঁড়েঘরের একটি বস্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। বস্তিটিতে অবৈধ বাংলাদেশিরা থাকত বলে দাবি করেছে পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
হরিয়ানার রাজ্য প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকবলিত নুহ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তারাউ নামে একটি এলাকায় বুলডোজার নিয়ে বস্তি উচ্ছেদ করে পুলিশ। তাদের দাবি, যেখান থেকে বস্তি উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা সরকারি জমি এবং সেখানে আসাম থেকে আসা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা বসবাস করত।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ওই বস্তি উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এর আগে, দাঙ্গার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, অভিবাসীরাই দাঙ্গার পেছনের মূল ইন্ধনদাতা।
স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, আগে আসামে বসবাস করা একদল অবৈধ অভিবাসী হরিয়ানার আরবান অথোরিটির ওই জায়গা দখল করে বসতি স্থাপন করেছিল। জায়গাটি নুহ জেলার তারাউ শহরের মোহাম্মদপুর রোডে অবস্থিত। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া হিসাব অনুসারে, সেখানে প্রায় এক একর সরকারি জায়গার ওপর আড়াই শতাধিক কুঁড়ে তৈরি করে বিগত চার বছর ধরে থাকছিল কয়েক শ মানুষ।
বস্তিটি উচ্ছেদের সময় সেখানে ব্যাপক পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই হরিয়ানায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার পর ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাতে জড়িতরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন দুজন রক্ষী। আহত হয়েছেন পুলিশের সাত সদস্য।
গুরুগাঁওসংলগ্ন নুহতে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালে সহিংসতা শুরু হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা আজ সোমবার গুরুগাঁও-আলওয়ার জাতীয় সড়কে এলে একদল যুবক বাধা দেয় এবং মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বজরং দলের একজন কর্মীর পোস্ট করা একটি আপত্তিকর ভিডিওর জেরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।