ভারতের উত্তরাখণ্ড প্রদেশে প্রস্তাবিত একটি আইন অনুযায়ী, বিয়ে ছাড়া কিংবা বিয়ের আগেই যদি কোনো নারী ও পুরুষ একসঙ্গে বসবাস বা লিভ-ইন সম্পর্কে জড়াতে চান তবে তাঁদের অবশ্যই জেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব যুগল ইতিমধ্যে লিভ-ইন সম্পর্কে আছেন কিংবা এ ধরনের সম্পর্ক জড়ানোর পরিকল্পনা করছেন আইন পাস হলে তাঁদের অবশ্যই উত্তরাখণ্ড ইউনিফর্ম সিভিল কোডের (ইউসিসি) অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। আর এই নিয়ম অমান্য করলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার রুপি জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
উত্তরাখণ্ডের ইউনিফর্ম সিভিল কোডের ওপর প্রস্তাবিত এ-সংক্রান্ত বিলটি বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে অভিন্ন বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি, সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার আইনের প্রতিনিধিত্ব করে। আজ মঙ্গলবার সকালে ‘জয় শ্রী রাম’ এবং ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যটির বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলটি পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দাদের লিভ-ইন করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি মেনে চলা আইনিভাবে বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়াবে। তবে বিষয়টিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচনা করছেন অনেকেই।
জানা গেছে, লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে আগ্রহী নারী ও পুরুষকে এ ধরনের সম্পর্কের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। পরে জেলা রেজিস্ট্রার সেই তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখবেন। সম্পর্কটি বৈধ কি না, সেটা খতিয়ে দেখাই এর উদ্দেশ্য। আর রেজিস্ট্রেশন যদি না হয়, তা হলে জেলা রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে তার কারণ জানাতে হবে।
বিলে জানানো হয়েছে, লিভ-ইন সম্পর্ক শেষ করতে হলে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে লিখিত আবেদনও করতে হবে। পরে ওই আবেদনের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তও হতে পারে। এ ধরনের সম্পর্ক জড়ানো নারী ও পুরুষের বয়স ২১ বছরের নিচে হলে তা অভিভাবকদেরও জানাতে হবে।