পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০, কিন্তু যিনি প্রথম হয়েছেন তিনি পেয়েছেন ১০১ দশমিক ৬৬। এমনই আশ্চর্য ফলাফল দেখা গেল, ভারতের মধ্যপ্রদেশের বন ও কারা বিভাগের এক নিয়োগ পরীক্ষায়। জালিয়াতির অভিযোগে ইন্দোরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার জেলা কালেক্টরের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের যৌথ নিয়োগ পরীক্ষার (বন ও কারা নিয়োগ পরীক্ষা–২০২৩) ফলাফলে একজন প্রার্থী মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০১ দশমিক ৬৬ নম্বর পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন। এ পরীক্ষা নিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ এমপ্লয়িজ সিলেকশন বোর্ড। গত ১৩ ডিসেম্বর এই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের এক নেতা গোপাল প্রজাপত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রথম এমন কিছু দেখতে পেলাম। একজন প্রার্থী মোট নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন। যদি বিষয়টি সমাধান না করা হয়, তবে চাকরিপ্রার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবেন।’
বন রক্ষক, ফিল্ড গার্ড (এক্সিকিউটিভ) এবং জেল গার্ড (এক্সিকিউটিভ) পদের জন্য অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ করেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান চাকরিপ্রার্থী।
এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘নর্মালাইজেশন’ নামে একটি প্রক্রিয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী ১০০–এর বেশি পেতে পারেন, আবার কেউ শূন্যের কমও পেতে পারেন।
‘নর্মালাইজেশন’ প্রক্রিয়ায় দেখা হয়, পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন বা সহজ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা যেন সুবিধা বা অসুবিধায় না পড়েন। একই বিষয়ের পরীক্ষা একাধিক সেশনে অনুষ্ঠিত হলে এবং প্রতিটি সেশনের প্রশ্নপত্র আলাদা হলে এই প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। এ প্রক্রিয়ায় একজনের স্কোর সংশোধন করা হয় যাতে তা অন্যজনের সঙ্গে তুলনার যোগ্য হয়।
তবে এ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অধিক সম্ভাবনা থাকায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন পরীক্ষার্থীরা।