ভারত নিয়ে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করার অভিযোগে তোপের মুখে পড়েছেন সার্বিয়ার টেনিস তারকা দেজানা রাদানোভিচ। সম্প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের তিনটি টুর্নামেন্টের জন্য ভারত সফরে এসেছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, টুর্নামেন্টের জন্য ভারতে দুই সপ্তাহের মতো ছিলেন রাদানোভিচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টানা কয়েকটি পোস্টে ভারতের খাবার, যানজট, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি।
বিমানবন্দরের ছবিসহ রাদানোভিচের এক পোস্টে লেখেন, ‘বিদায় ভারত। আমি চাই, তোমার সঙ্গে আর কখনোই দেখা না হোক!’
জার্মানির শহর মিউনিখে পৌঁছেই তিনি আরেক পোস্ট দেন। বলেন, ‘হ্যালো সভ্যতা! যারা তিন সপ্তাহের মতো ভারতে ছিলেন, তাঁরাই কেবল এ অনুভূতি বুঝতে পারবেন।’
তাঁর এ পোস্টগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আর ব্যবহারকারীরা তাঁকে ‘বর্ণবাদী’ বলে সম্বোধন করছেন। এরপরই রাদানোভিচ আরেকটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মন্তব্যগুলোর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, তাঁর মন্তব্য ভারতের মানুষ নিয়ে নয় বরং দেশটি নিয়ে। তাই তাঁকে ‘বর্ণবাদী’ বলা যায় না।
তিনি বলেন, ‘আমি ভারত দেশটি পছন্দ করিনি। আমার কাছে এর খাবার, যানজট, পরিচ্ছন্নতা (হাইজিন) পছন্দ হয়নি। এখানে খাবারে পোকা, হোটেলে হলদেটে বালিশ আর নোংরা বিছানার চাদর। তারা (রাস্তার) গোলচত্বর কীভাবে ব্যবহার করতে হয় জানে না।’
রাদানোভিচ বলেন, ‘আপনি যদি আমার দেশ সার্বিয়ায় আসেন আর এসব জিনিস পছন্দ না করেন তাহলে আপনি বর্ণবাদী? বর্ণবাদের সঙ্গে এসব জিনিসের সম্পর্ক কোথায়? আমার সব দেশের এবং বর্ণের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে, তাই বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলবেন না।’
উল্লেখ্য, ইদানীং ভারতের স্ট্রিট ফুড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া খুব ট্রল হচ্ছে। বিশেষ করে খাবার তৈরি ও পরিবেশনায় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও পরিচ্ছন্নতার বালাই না থাকার কারণেই এভাবে কটাক্ষের শিকার হচ্ছে ভারতের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড সংস্কৃতি।