কলকাতা সংবাদদাতা
ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণের আগে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় এক নির্বাচনী প্রচারসভায় তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রেখেছে।
নির্বাচনী প্রচারের ভাষণে নরেন্দ্র মোদি যেন পুরোদস্তুর ধর্মীয় আবেগের বিষয়টিই উসকে দিতে চাইলেন। বর্ধমানের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূলের শাসনে বাংলায় (পশ্চিমবঙ্গে) হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রকাশ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।’
এ সময় মোদি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বাংলায় হিন্দুদের এ কী হাল হয়েছে?’ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেস কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য ভোটে লড়ছে না। তারা সবাই শুধু বিভাজন বোঝে।
ভাষণে নরেন্দ্র মোদি রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘আমি টিভিতে দেখেছি, তৃণমূলের এক বিধায়ক খোলাখুলি হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, হিন্দুদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। এটা কোন ধরনের ভাষা, ভাই? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেব? সত্যিই বাংলায় হিন্দুদের এ কী অবস্থা! মনে হচ্ছে, বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে।’
নরেন্দ্র মোদি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এরা কেমন মানুষ! জয় শ্রীরামের ধ্বনি শুনলে আপত্তি করে, এরা রামমন্দিরের উদ্বোধনে আপত্তি করে, এরা রামনবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি করে!’ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালীতে নারীদের সঙ্গে দুষ্কর্ম করা শাহজাহানকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল।
এর মধ্যেও যেন ধর্মীয় বিভাজনের তত্ত্ব খুঁজে পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রশ্ন, ‘অপরাধীর নাম শাহজাহান বলেই কি তাঁকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল?’