রয়টার্স, গুয়াহাটি
প্রচণ্ড গরম ও বন্যায় চলতি সপ্তাহে ভারতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক নারী ও তাঁর তিন কন্যা ভূমিধসে জীবন্ত মাটিচাপা পড়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। দুই কোটি মানুষের এই শহরে অতি গরমে এই সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচজন হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সিজু দাস টেলিফোনে বলেন, ‘ভূমিধসে একজন নারী ও তার তিন মেয়ের জীবন্ত কবর হয়েছে। তাদের বাড়িটি একটি পাহাড়ি ঢালের উপর ছিল। তারা মধ্যরাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও আছে।’
তিন ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধারকারীরা তাঁদের মৃতদেহ বের করে বলে তিনি জানান।
এই গ্রীষ্মে এশিয়াজুড়ে কোটি কোটি মানুষ প্রচণ্ড গরমে অসহনীয় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। এই অতি গরম আবহাওয়ার পেছনে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধানত দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা।
মার্চের পর থেকে দিল্লি ও নিকটবর্তী মরুরাজ্য রাজস্থানে তাপমাত্রা বেড়ে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) উঠেছে। আর দেশের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলে এই মওসুমে স্বাভাবিকের দ্বিগুণ তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়েছে। আর তার সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি ও প্রতিবেশী শুষ্ক অঞ্চলগুলিতে গরম বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের অন্যতম বৃহত্তম শাখা নদী ও ভারতের বড় নদীগুলির একটি কপিলির বিপৎসীমা অতিক্রম করায় আসামে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে রাজ্যটিতে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।