সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, রাজস্থানের দরজি কানাইয়া লালের হত্যাকারী রিয়াজ আত্তারীর সঙ্গে এক বিজেপি নেতার ছবি। এই ছবির পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে বিজেপির সংযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। তবে বিজেপি কংগ্রেসের এই দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
কংগ্রেসের দাবি, সরকার ঘটনার বিষয়টি চাপা দিতেই তড়িঘড়ি করে তদন্তের দায়দায়িত্ব ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি–এনআইএ এর কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে বিজেপি কংগ্রেসের এই দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি বলেছে, তাঁদের সঙ্গে হত্যাকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।
রাজস্থান বিজেপির সংখ্যালঘু বিভাগের প্রধান সাদিক খান বলেছেন, ‘অভিযুক্তদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’ এক সংবাদ সম্মেলনে সাদিক খান বলেন, এই হত্যাকাণ্ড রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের ব্যর্থতা।
এর আগে, কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা পবন খেরা বিজেপির সঙ্গে হত্যাকারীদের সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, কানাইয়া লাল হত্যায় অভিযুক্ত রিয়াজ আত্তারি ওরফে রিয়াজ আখতারির সঙ্গে বিজেপির সংযোগ রয়েছে। এক টুইটে পবন খেরা লিখেছিলেন, ‘কানাইয়া লালের হত্যাকারী রিয়াজ আত্তারী বিজেপির সদস্য।’ কংগ্রেসের অনেক নেতারাই পবন খেরার মতো একই রকম টুইট করেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে পবন খেরা বিজেপি নেতা ইরশাদ চায়নাওয়ালা এবং মোহাম্মদ তাহিরের সঙ্গে রিয়াজ আত্তারীর ছবি দেখিয়ে দাবি করেন বিজেপির সঙ্গে হত্যাকারীদের সংযোগ রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও দেখা গেছে যে—রিয়াজ আত্তারী বিজেপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী গুলাবচান্দ কাটারিয়ার জনসভাগুলোতে নিয়মিত যোগ দিতেন।’
তবে বিজেপির আইটি সেলর প্রধান অমিত মালব্য কংগ্রেস নেতাদের এই দাবিকে ‘ভুয়া সংবাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ভুয়া সংবাদ ছড়ানোয় আমি খুব একটা অবাক হইনি। উদয়পুরে ওই দুই হত্যাকারী বিজেপির সদস্য নয়। তাদের বিজপিতে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা অনেকটা রাজীব গান্ধীকে হত্যার জন্য এলটিটিই সদস্যদের কংগ্রেসে অনুপ্রবেশের ঘটনার মতো।’
এর আগে, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বিকেলের কানাইয়া লালকে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াজ আত্তারী এবং গাওস মোহাম্মদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।