হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে সরাসরি তথ্য দেয় মার্কিন পুলিশকে: নথি ফাঁস

ফাঁস হওয়া কিছু নথি বলছে, কয়েক দশক ধরে মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতের বিষয়ে সরাসরি তথ্য পেয়ে এসেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও থিঙ্কট্যাঙ্কগুলোর কাছ থেকে। পাশাপাশি মার্কিন পুলিশ বাহিনী ইসরায়েলপন্থী অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ‘মুসলিম চরমপন্থীদের’ ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাড়াও ফিলিস্তিনপন্থী কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো জরিপ করেছে। 

তবে ‘ব্লুলিকস ট্রুভ’ খ্যাত হ্যাক হওয়া ওই নথিগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো গোষ্ঠীর বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদানের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে। 

এ বিষয়ে ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের একজন ফেলো এবং এফবিআইয়ের সাবেক এজেন্ট মাইক জার্মান মনে করেন, এই ধরনের নথি আদান-প্রদান এবং প্রশিক্ষণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভালো অনুশীলনগুলোর ক্ষতি করছে। 

আজ শুক্রবার গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ২৭০ গিগাবাইটের সমান ‘ব্লুলিকস ট্রুভ’ খ্যাত ওই নথিগুলো ২০২০ সালের জুনে হ্যাক করেছিল স্বঘোষিত হ্যাকটিভিস্টরা। পরে তারা এগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। বিপুলসংখ্যক ওই নথিতে দুই শতাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়ে তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘এলএ ক্লিয়ার’ নামে একটি সংস্থার গোপন কিছু তথ্যও ফাঁস হয়। এই সংস্থাটি মূলত মাদকসংক্রান্ত তদন্তে কেসস্টাডি ও বিশ্লেষণাত্মক সহযোগিতা সরবরাহ করে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি পুলিশ চিফস অ্যাসোসিয়েশন, ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফস ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে এই সংস্থা ১৯৯২ সালে গঠিত হয়েছিল। প্রকাশ্যে মাদক মোকাবিলার মিশন নিয়ে সংস্থাটি কাজ করলেও ফাঁস নথিতে জানা গেছে, এটির আর্কাইভে গাজা ও পশ্চিম তীরে সংঘটিত একটি বড় সংঘর্ষের পূর্ববর্তী কিছু ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণ রয়েছে। আর এই তথ্যগুলো সরবরাহ করেছে সরাসরি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং এর সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি থিঙ্কট্যাঙ্ক। 

ওই আর্কাইভে ‘গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা’ শিরোনামে ২০১১ সালের ১১ এপ্রিলের একটি নথিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কৌশলগত বিভাগের চিহ্ন এবং ব্যাজ সংযুক্ত রয়েছে। নথিটি ‘শুধু অফিশিয়াল ব্যবহারের জন্য’ লেখা দ্বারা চিহ্নিত ছিল। এ ধরনের চিহ্ন দ্বারা বোঝানো হয়, এটি সবার কাছে প্রকাশযোগ্য নয়। 

ওই দস্তাবেজে উল্লেখ ছিল, ‘সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসী হামলা তীব্রভাবে বেড়েছে। এসব হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।’ 

দস্তাবেজে কিছু প্রমাণও সংযুক্ত ছিল। ২০১১ সালের ১১ মার্চ হামাসের কাছ থেকে ছোড়া রকেটের সংখ্যা, শায়ার হানেগেভ স্কুল বাসে হামলা এবং ইতামারের ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি পরিবারকে হত্যার তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ ছিল। তবে ওই নথিতে ইতামারের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধের দীর্ঘ ইতিহাস উল্লেখ ছিল না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পশ্চিম তীরসংলগ্ন ওই এলাকাকে ইসরায়েলিদের অবৈধ বসতি হিসেবে মনে করে। ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে ভূমি দখল, ফিলিস্তিনি গ্রামে হামলা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যায় ইতামারের বসতি স্থাপনকারীদের সংশ্লিষ্টতা চিহ্নিত করা হয়েছিল।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন