লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি হামলায় এবার দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সীমান্তের কাছে চালানো এক হামলায় ওই কমান্ডার নিহত হন।
এপির প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা একটি এসইউভি গাড়িকে আঘাত হানলে নিহত হন হিজবুল্লাহর ওই কমান্ডার। হিজবুল্লাহর ওই কমান্ডার নিহত হওয়ার বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, যুদ্ধ এবার হয়তো সত্যিকার অর্থেই আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর ওই কমান্ডারের নাম উইসাম আল-তাওয়িল। হিজবুল্লাহর একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, তবে তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি গোষ্ঠীটি। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় যতজন লেবানিজ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে উইসাম আল-তাওয়িলই সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি ছিলেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি ইসরায়েলি হামলায় বৈরুতে নিহত হন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরৌরি নিহত হন। পরে আল-আরৌরির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে, তাদের সেনাদের আঙুল বন্দুকের ঘোড়ায় চেপে বসেছে। তারা যেকোনো সময় ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মাঠে নামবে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে হিজবুল্লাহ বলেছিল, ‘তথাকথিত ড্রোন হামলার মাধ্যমে আল-আরৌরি, হামাসের অন্য দুই শীর্ষ নেতাসহ ছয়জনকে হত্যা লেবাননের ওপর একটি গুরুতর হামলা।’ গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘দখলদার ও প্রতিরোধ অক্ষের মধ্যে (হামাস ও হিজবুল্লাহ) যুদ্ধ চলাকালীন এটি (ড্রোন হামলায় আল-আরৌরির নিহত হওয়া) একটি বিপজ্জনক বিকাশ। এটিকে কোনোভাবেই বিনা প্রতিক্রিয়ায় শাস্তি ছাড়া বয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।’