গাজার সাধারণ মানুষের ওপর বর্বর নির্যাতন করতে গিয়ে ক্ষুধাকে ইসরায়েল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবিক সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গাজার ২২ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য, পানি, জ্বালানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। জাতিসংঘের একটি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে অক্সফাম জানিয়েছে, গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েলের দ্বারা সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে প্রয়োজনের তুলনায় এখন পর্যন্ত মাত্র ২ শতাংশ খাদ্য গাজা উপত্যকায় পৌঁছেছে।
অক্সফাম দাবি করেছে, বর্তমানে স্বল্প পরিমাণে খাদ্য সরবরাহ শুরু হলেও গাজায় এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। ইসরায়েলে সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার আগে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১০৪ ট্রাক খাদ্য প্রবেশ করত। অর্থাৎ প্রতি ১৪ মিনিটে একটি ট্রাক সেখানে পৌঁছাতো। এই হিসেবে গত এক সপ্তাহে গাজায় মাত্র ৬২টি ট্রাক ঢুকতে পেরেছে; যার মধ্যে মাত্র ৩০টি ট্রাকে ছিল খাদ্য পণ্য।
বিদ্যমান পরিস্থিতিকে ভয়ংকর আখ্যা দিয়ে অক্সফামের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক সাল্লি আবি খলিল বলেছেন, ‘মানবতা কোথায়? গোটা বিশ্বকে দেখানোর জন্য লাখ লাখ বেসামরিক মানুষকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। বিশ্ব নেতাদের আলস্য কাম্য নয়। তাদের এখন কাজ করার সময় এবং তাদের কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’