রয়্যাল আমওয়াজ প্রকল্পের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাম জুমেইরাহ এলাকায় ৯৪ কোটি দিরহাম মূল্যে একটি জমির লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। গালফ নিউজের একটি প্রতিবেদনে তথ্যটি জানান হয়েছে।
দুবাই ভূমি বিভাগের তথ্য অনুসারে, ২ লাখ ৬১ হাজার ৭১২ বর্গফুট আয়তনের এই প্লটের প্রতি বর্গফুটের দামটিও মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো- ৩ হাজার ৫৯১ দিরহাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার টাকা।
আর এই ঘটনায়ই দুবাই আবাসন সংশ্লিষ্ট বাজারে শুরু হয়েছে অর্থের বিশাল তরঙ্গ। দুবাই রিয়েল এস্টেট মার্কেটে দুই ঘণ্টারও কম সময়ে ৯০টি প্লটের বেচাকেনা সম্পন্ন হয়েছে। এতে মোট লেনদেনের ১০৮ কোটি দিরহাম-বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সমান। আর এসব বেচাকেনার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে ছিল পাম জুমেইরাহ।
জায়গার এই উচ্চমূল্যের কাছাকাছি আসতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন রশিদ সিটি বা এমবিআর সিটি ও মামজার এলাকার দুটি প্লটের দাম।
এমবিআর সিটির প্লটের দাম প্রায় ১.৬ কোটি দিরহাম-বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। মামজারের প্লটটির দাম ১.৪৯ কোটি দিরহাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৭ কোটি টাকার সমান।
দুবাইয়ের বিখ্যাত পাম জুমেইরাহ দ্বীপটি পাম গাছের আকৃতির। এই দ্বীপের পুরোটাই মনুষ্য নির্মিত। প্রাচীন সমুদ্রসৈকত, বিলাসবহুল হোটেল এবং প্রায় ৮০,০০০ মানুষ নিয়ে এই দ্বীপ। ২০০১ সালের জুনে পাম জুমেইরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
স্টিল বা কংক্রিট নয়, শুধুমাত্র বালু ও পাথর দিয়ে নির্মিত হয়েছে পাম জুমেইরাহ দ্বীপের ভিত্তি। দ্বীপ থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে পারস্য উপসাগরের তলদেশ থেকে ১২০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার বালু তুলে আনা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তরে অবস্থিত পাহাড় থেকে আনা হয় ৭ মিলিয়ন টন পাথর। এসব পাথর দিয়ে সমুদ্রের বড় ঢেউ ও ঝড়ো বাতাস থেকে দ্বীপকে রক্ষা করতে নির্মিত হয়েছে ১১ কিলোমিটার লম্বা অর্ধচন্দ্রাকৃতি বাঁধ। প্রায় ৫৬০ হেক্টর (১৩৮০ একর) আয়তনের পাম জুমেইরাহ দ্বীপ এতটাই বিশাল যে পাতা আকৃতির এই দ্বীপটি নির্মাণ করতে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়েছে।