উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই এলাকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছে এবং অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। খবর বিবিসি।
ইসরায়েল বলেছে, তারা হতাহতের তথ্য যাচাই করছে। হামাস কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত পরিসংখ্যানকে তারা অতিরঞ্জিত বলছে। তারা বলছে, এই পরিসংখ্যান সেনাবাহিনীর কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে মেলে না।
শহরের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধের খবরের কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে আঘাত হানে হিজবুল্লাহর ড্রোন। তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা হয়।
আইডিএফ জানায়, তিন ড্রোন সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর বাসভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। এর মধ্যে দুটি প্রতিরোধ করা গেছে। একটি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আঘাত হেনেছে।
সৌদি আরবের সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল আল-হাদাসকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই ড্রোনগুলোর মধ্যে একটি ড্রোন সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ঘটনার সময় নেতানিয়াহু বা তাঁর স্ত্রী ঘটনাস্থলের কাছে ছিলেন না। এ ছাড়া এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন ইয়াহইয়া সিনওয়ার। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা সিনওয়ারকে হত্যার জন্য গাজায় ‘ঘর থেকে ঘরে’ তাঁকে ট্র্যাক করেছে এবং অবশেষে এক ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ শেষে তাঁকে হত্যা করেছে। সিনওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন ইসরায়েলি বাহিনীকে ফাঁকি দিতে। তবে সেই চেষ্টার একপর্যায়ে হার মানতে হয় তাঁকে।