মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৮৭০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পেতে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিজেই বিষয়টি জানিয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইয়াল জামির ইসরায়েলের চলমান সামরিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ৮৭০ কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের জন্য ওয়াশিংটনে আলোচনা শেষ করেছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধকালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ করা ৩৫০ কোটি ডলার, যা এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং এবং একটি উন্নত লেজার সিস্টেমসহ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ করা ৫২০ কোটি ডলার।’ উল্লেখ্য, ইসরায়েলের কাছে বর্তমানে ডেভিডের স্লিং, অ্যারো এবং আয়রন ডোমসহ বেশ কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চুক্তির আওতায় উল্লিখিত তহবিল ও সামরিক সরঞ্জামগুলো শিগগিরই ইসরায়েলে সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি মার্কিনি ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা সীমিত করা উচিত বলে মত দিয়েছেন। কিন্তু জনমতকে উপেক্ষা করে ওয়াশিংটন তেল আবিবকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তারই সর্বশেষ প্যাকেজ এই ৮৭০ কোটি ডলারের সহায়তা।
এদিকে, লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সোমবার ভোর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সাত শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৪১ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ।