চার বছর আগে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণের কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত এবং ১৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত উত্তেজনার মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটল। তবে এই হামলার পেছনে কে থাকতে পারে তা স্পষ্ট করে না বললেও ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠীও এর দায় স্বীকার করেনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হতাহতের পরিসংখ্যানের জন্য দেশটির জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারস্তকে উদ্ধৃত করেছে।
বিপ্লবী গার্ডের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
রাজধানী তেহরানের প্রায় ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কেরমানে সোলেইমানির কবরস্থানের কাছেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি অপারেশন শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি সমগ্র অঞ্চলে ইরানি নীতির একজন স্থপতি ছিলেন।
সোলেইমানি কুদস ফোর্সের গোপন মিশন এবং হামাস, হিজবুল্লাহসহ তাদের মিত্র সরকার ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা, তহবিল, অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য এবং লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন বলে মনে করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইরিব বলেছে, সোলেইমানির সমাধি-সংলগ্ন সাহেব আল জামান মসজিদের পাশে অন্তত দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। আজ সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ সমাধির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময়ই বিস্ফোরণগুলো ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৭১ জন আহত হয়েছেন। কেরমানের ডেপুটি গভর্নর এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ওপর বেশ কিছু মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।