অনলাইন ডেস্ক
হজযাত্রীদের জন্য পাইলটবিহীন বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবার উদ্বোধন করেছে সৌদি আরব। গতকাল বুধবার ইএইচ ২১৬-এস নামের একটি বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ট্যাক্সি পরিষেবার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে সৌদি সরকারের পরিবহন এবং লজিস্টিক সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সালেহ আল জাসের নিজে বুধবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এ সময় সাধারণ অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের (জিএসিএ) সভাপতি আবদুল আজিজ আল-দুইলেজ উপস্থিত ছিলেন।
ট্রায়াল শেষে সৌদিভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়াকে মন্ত্রী বলেন, ‘এই এয়ার ট্যাক্সি পাইলটবিহীন এবং স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। দুজন মানুষ এই ট্যাক্সিতে চড়তে পারবেন। একবারের উড়ানে এটি সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। এই ট্যাক্সি সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎচালিত এবং নিরাপদ।’
‘আমরা চলতি বছরের হজ থেকে এই পরিষেবা চালু করতে চাইছি। আপাতত শুধু মক্কা ও তার আশপাশে এই ট্যাক্সি চলবে।’ আল আরাবিয়াকে বলেন সালেহ আল জাসের।
এদিকে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মক্কায় এয়ার ট্যাক্সি চালু হলে সেটি হবে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা। প্রথমদিকে এই ট্যাক্সি কেবল মক্কা শহর ও তার আশে পাশের এলাকায় পরিষেবা দেবে, পরে মক্কা-মদিনা রুটে চলাচল করতে সক্ষম ট্যাক্সি চালু করা হবে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বা অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেও এই এয়ার ট্যাক্সি ব্যবহৃত হবে।
আল আরাবিয়াকে পরিবহনমন্ত্রী সালেহ আল জাসের বলেন, ‘আপাতত শুধু হজযাত্রীদের জন্যই এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করা হবে।’
ইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ও প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা আবশ্যিক (ফরজ)।
এ কারণে প্রতি বছর হজের মৌসুমে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সৌদিতে জড়ো হন লাখ লাখ মুসলমান। দেশট্রি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি হজ মৌসুমে এ পর্যন্ত পুরো বিশ্ব থেকে সৌদিতে এসেছেন ১৫ লাখেরও বেশি মুসলমান।