হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্সের একটি আদালত। একই অভিযোগে আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদ ও সিরিয়ার অন্য জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার ফ্রান্সের বিচার বিভাগীয় একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের আগস্টে সিরিয়ার দোমা শহর ও পূর্ব ঘৌটা জেলায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই সময় দেশটির এই দুই এলাকায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর হামলায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দীর্ঘদিনের তদন্ত শেষে আজ বুধবার ফ্রান্সের আদালত বাশার আল-আসাদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। 

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় বাশার-আল আসাদের বাহিনী দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন-নির্যাতন চালায়। ওই সময় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সিরিয়ার সরকারি বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করছে বলে অভিযোগ করেন। 

ফ্রান্সের আদালতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেছিল সিরিয়ান সেন্টার ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও আইনজীবী মাজেন দারউইশ বলেছেন, ২০১৩ সালে ঘৌটায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ঘটনা ঘিরে বাশার আল-আসাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। 

তবে সিরিয়া শুরু থেকেই ঘৌটায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু এর আগে জাতিসংঘ ও অর্গানেইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসের যৌথ এক তদন্তে ২০১৭ সালের এক হামলায় সিরিয়ার সরকার বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট সারিন ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, নিষিদ্ধঘোষিত ক্লোরিনও অস্ত্র হিসেবে সিরিয়ার সরকার বারবার ব্যবহার করেছে বলে ওই তদন্তে উঠে আসে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দারউইশ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সিরিয়ায় অনেক অপরাধের জন্য দায়ী। বিশেষ করে সারিন গ্যাস ব্যবহার করে পার পাওয়া অসম্ভব। এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। 

এর আগে, গত অক্টোবরে ফরাসি বিচারকেরা ২০১৭ সালের বোমা হামলার এক ঘটনার দায়ে সিরিয়ার সাবেক দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করেছিলেন। সিরিয়ার দারা শহরের এক বাড়িতে ওই হামলায় সিরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি এক নাগরিক নিহত হন।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন