হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

তেল আবিব লক্ষ্য করে একঝাঁক রকেট ছুড়ল হামাস

ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে আবারও রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। বিগত চার মাসের মধ্যে ইসরায়েলে হামাসের এ ধরনের হামলা এই প্রথম। হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) গতকাল রোববারের এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে আইডিএফ হামাসের রকেট হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া, আইডিএফ দাবি করেছে, তারা গাজা থেকে আগত একঝাঁক রকেটের মধ্য থেকে আটটি রকেট ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে হামাস কতগুলো রকেট নিক্ষেপ করেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। 

আইডিএফ এক্সে শেয়ার করা টুইটে বলেছে, ‘রাফাহ থেকে মধ্য ইসরায়েলের (তেল আবিবের) দিকে একঝাঁক রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল।’ রকেট হামলার ভিডিওকে ইঙ্গিত করে আইডিএফ আরও বলেছে, ‘আজ (রোববার) সকালে কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সাহায্য যাচ্ছিল এবং এখন মধ্য ইসরায়েলে রকেট ছোড়া হয়েছে।’ 

ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফুটেজগুলো থেকে দেখা গেছে—এই হামলার ফলে তেল আবিব এলাকায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই হামলায় অন্তত একটি আবাসিক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, এই রকেটগুলো রাফাহ-মিসর সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, আইডিএফ রাফাহেই হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। 

এদিকে, এই রকেট হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেড। এক বিবৃতিতে আল-ক্বাসাম ব্রিগেড বলেছে, এই হামলা গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়েছে। 

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য ঘরে-বাইরে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভের পাশাপাশি ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও জিম্মিদের নিরাপদে ফেরানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। 

জিম্মিদের ফেরানোর দাবিতে বিভিন্ন বিক্ষোভ থেকে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা তাঁদের নিজেদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখা নিয়ে ব্যস্ত। 

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইয়ার লাপিদ বলেছিলেন, গাজায় প্রতিদিন ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা করা হচ্ছে আর তাঁরা (ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা) টেলিভিশনে নিজেদের মধ্যে লড়াই করছেন। এই মন্ত্রিসভা বিচ্ছিন্ন ও অকার্যকর। নেতানিয়াহু প্রশাসন তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে পড়ছে, মধ্যবিত্তরা ব্যাপক চাপে পড়ছে।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন