গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব আদালতের নির্দেশ সমর্থন করায় ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেট থেকে বহিষ্কারের মুখে এখন এমপি ওফের ক্যাসিফ। নেসেটের পার্লামেন্টারি কমিটি গতকাল বুধবার ১৪-২ ভোটে তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রগতিশীল দল আরব তায়াল পার্টির সঙ্গে জোটে থাকা কমিউনিস্ট হাদাশ পার্টির নেতা ওফের ক্যাসিফকে বহিষ্কারের জন্য এখন নেসেটের পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে ভোট হবে। তাঁকে বহিষ্কারের জন্য প্রয়োজন হবে ১২০ জনের মধ্যে ৯০ জন সদস্যের অনুমোদন। ভোটের তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি।
গত সপ্তাহে দেওয়া রায়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) বা বিশ্ব আদালত ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই আদেশের ফলে ইসরায়েলজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই নির্দেশ সমর্থন করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের সম্মুখীন হন ওফের ক্যাসিফ।
ক্যাসিফের বহিষ্কারের প্রস্তাব নেসেটে পাস হলেও সুপ্রিম কোর্টে ভোটের রায় পাল্টে যেতে পারে।
ওফের ক্যাসিফকে বহিষ্কারের ইস্যুতে গত দুই দিন নেসেটে হাউস কমিটির বৈঠক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। ক্যাসিফের সমর্থকেরা তাঁকে বহিষ্কারের প্রস্তাবটিকে গণতান্ত্রিক বিরোধী বলে নিন্দা করেছে। আর সেই সমর্থকদের উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্যরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওফের ক্যাসিফের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। তবে ক্যাসিফের পার্টির চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে দেশকে অভ্যুত্থানের দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
চলতি মাসেই এক সাক্ষাৎকারে ওফের ক্যাসিফ জানান, ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণকে তিনি সমর্থন করেছেন বলে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় নেতানিয়াহু সরকারের গণহত্যাকেও তিনি সমর্থন করেন না।
সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় দেখা গেছে, ইসরায়েলে এখনো বড় একটি অংশই গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যাকে সমর্থন করে।