ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ নতুন করে হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরটি দিয়েছে।
আজ বুধবার হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের বার্নিট ব্যারাকে অবস্থিত ৯১তম ডিভিশন গ্যালিলিকে বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করেছে এবং এর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।
যুদ্ধে হিজবুল্লাহ পূর্ণশক্তি নিয়ে প্রবেশ করায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রায়লিউমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ নিয়ে তেল আবিব যখন উদ্বিগ্ন তখন এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহর পূর্ণমাত্রার প্রবেশে অত্যন্ত চিন্তিত ইসরায়েলি নেতারা।
ইসরায়েলি অনুসন্ধানী সাংবাদিক রনেন বার্গম্যান বলেছেন, ইরান দুবার ইসরায়েলিদের মনে ভয় ধরাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমবার, যখন একটিও বুলেট না ছুড়েই মনস্তাত্ত্বিক এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছিল তারা এবং দ্বিতীয়বার, যখন ইরান সিরিয়ায় তার কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।
জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।
প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্ব একাধিকবার ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি উচ্চারণ করেছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। তবে ইরানে কবে ও কখন হামলা চালানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।