ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের দমনে দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইঙ্গ-মার্কিন জোট খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মূলত লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে হুতিদের হামলা থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে চলাচলের সুযোগ দিতেই হুতিদের প্রতি খড়গহস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছিল—ইসরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ না করলে লোহিত সাগর হয়ে ইসরায়েল অভিমুখী যেকোনো জাহাজে হামলা চালাবে তারা। গত নভেম্বরে এই ঘোষণা দেয় গোষ্ঠীটি। তারপর থেকে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে গোষ্ঠীটি।
এদিকে, ইয়েমেনে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী হুতিদের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলার বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বাইডেন হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে আরও হামলা চালানো হবে।
বাইডেন তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে চালানো এই হামলাগুলো একটি স্পষ্ট বার্তা যে, যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের অংশীদারেরা আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ সহ্য করবে না বা শত্রুদের সামুদ্রিক চলাচলের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করার অনুমতি দেবে না।’ ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘হামলার পর আমরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি, হুতিদের বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা চালানোর ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
হুতিদের তরফ থেকেও এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, এক হুতি কর্মকর্তা জানিয়েছেন—ইঙ্গ-মার্কিন জোট ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি সাদা, দামার শহর এবং হোদেইদাহ গভর্নরেটে হামলা চালিয়েছে মার্কিন-ইহুদিবাদী-ব্রিটিশ চক্র।
অপরদিকে, মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে—গত ১৯ নভেম্বরের পর থেকে হুতি বাহিনী লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে অন্তত ২৭টি হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এসব হামলাকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা বলে অভিহিত করেছেন।