ইরানে সন্ত্রাসী হামলায় থানার ডেপুটিসহ ৩ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ায় বিমান হামলায় সাত রেভল্যুশনারি গার্ডস নিহত হওয়ার দুই দিন পরেই এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটন ঘটেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে বলা হয়।
ইরানের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের সিস্টান–বালুচিস্তান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর আলিরেজা মারহামাতি বলেন, প্রদেশের রাস্ক ও চাবাহার শহরের সামরিক ঘাঁটিতে রাতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলায় তিন নিরাপত্তা সদস্য শহীদ হয়েছেন। চাবাহার শহরের ১১ নম্বর থানায় এক হামলায় ডেপুটি আব্বাস মীর শহীদ হন। বেশ কয়েকজন হামলাকারীও নিহত বা আহত হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আইআরআইবি এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জাইশ আল–আদল এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০১২ সালে জিহাদি এই দলটি গঠিত হয়েছে।
দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার ভবনে বিমান হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো।
উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীরা চাবাহার ও রাস্কে গার্ডের সদর দপ্তর দখলের লক্ষ্যে সফল হয়নি। সন্ত্রাসীরা এই সদর দপ্তরের চারপাশে অবস্থান করছে এবং অন্ধের মতো গুলি চালাচ্ছে। গার্ডের সাহসী সদস্যরা এবং পুলিশ তাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করছে।’
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী সিস্তান–বালুচিস্তান প্রদেশে ইরানের সামরিক বাহিনীর ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) অসংখ্য ঘাঁটি রয়েছে। প্রদেশটিতে বছরের পর বছর ধরে মাদক চোরাচালানকারী, বেলুচি সংখ্যালঘু বিদ্রোহী এবং সুন্নি মুসলিম চরমপন্থীরা অস্থিরতা তৈরি করছে।
গত ডিসেম্বরে রাস্কের পুলিশ সদর দপ্তরে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় ১১ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। গত জুলাইয়ে প্রদেশটির রাজধানী জাহেদানের একটি থানায় আরেক হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও চার হামলাকারী নিহত হয়।