গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সুরক্ষিত সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে ঢুকে পড়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সেদিন হামাসের আক্রমণে নিহত হয় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি। আগে থেকে হামাসের হামলার বিষয়টি জানতে না পারার ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডাইরেক্টরেট বা আমানের প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘মেজর জেনারেল আহারন হালিভা সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল চিফ অব স্টাফের সঙ্গে সমন্বয় করে ৭ অক্টোবরের ঘটনার জন্য ইন্টেলিজেন্স ডাইরেক্টরেটের প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করার অনুরোধ করেছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মেজর জেনারেল আহারন হালিভা সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ায় তাঁর উত্তরসূরি খুঁজে পাওয়া মাত্র তাঁর দায়িত্ব শেষ করবেন এবং আইডিএফ থেকেও পদত্যাগ করবেন।
এদিকে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। গাজার দুটি বৃহত্তম শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে পুরো অঞ্চলটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নিহতদের অন্তত তিন ভাগের দুই ভাগই শিশু ও নারী।
গাজার কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বিমান হামলার কারণে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মৃতদেহ আটকে আছে, আবার এমন এলাকাও রয়েছে যেখানে চিকিৎসকদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।