অনলাইন ডেস্ক
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। আজ রোববার সরকারি এক বিবৃতিতে ইসরায়েলে আল জাজিরা বন্ধে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সর্বসম্মতির এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিসভার ভোটাভুটির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেন, ‘ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।’
ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী আইনটি দ্রুত কার্যকর করতে আদেশে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাক্ষর করেছেন। তবে দেশটির একজন আইন প্রণেতা চ্যানেলটির কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। ফলে আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশটির আদালতে আপিল করতে পারবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মধ্যে ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ, সম্প্রচার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত, কেব্ল ও স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলো থেকে চ্যানেলটি বিচ্ছিন্ন এবং এর ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কাতার সরকারের অর্থায়নে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আসছে আল জাজিরা। যে কারণে ইসরায়েলের সরকার এর আগেও আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয়।
গত মাসে ইসরায়েলের সংসদে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত বিদেশি এই সম্প্রচারমাধ্যমকে ইসরায়েলে সাময়িকভাবে বন্ধ করার অনুমতি দিয়ে একটি আইন পাস করা হয়।
তবে ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ আল জাজিরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। যদিও ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে যে অভিযোগ আল জাজিরার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা অতীতে প্রত্যাখ্যান করেছে কাতারি এই সম্প্রচারমাধ্যম। তারা বলেছে, ইসরায়েলে কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ আল জাজিরাকে নীরব করে দেওয়ার একটি চেষ্টা।
আইনটি পাসের পর মন্ত্রিসভার সর্বসম্মতি পাওয়ায় আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধে করে দেওয়ার সময় পাবে নেতানিয়াহুর সরকার। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুমতিতে এই সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।