ইসরায়েলি কারাগার থেকে বোতলে ভরে ফিলিস্তিনি এক কয়েদির শুক্রাণু পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন আরেক ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় যার শুক্রাণু পাচার করা হচ্ছিল, সেই কয়েদিকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সন্তানের আশায় স্ত্রীর কাছে শুক্রাণু পাঠাচ্ছিলেন তিনি।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় র্যামন কারাগারের দেয়াল ঘেঁষে একটি সংশোধনকেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকেই বোতলে ভরা শুক্রাণু জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা হয় ওই সংশোধন কেন্দ্রে থাকা এক ফিলিস্তিনিকে। পরে তাঁর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে র্যামন কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীকেও চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের কারাগারে থেকেও ফিলিস্তিনি বন্দীদের সন্তানের বাবা হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি বিপুল আলোচিত। বলা হচ্ছে, শুক্রাণু পাচার করে শতাধিক সন্তানের বাবা হয়েছেন দীর্ঘ মেয়াদে সাজা খাটা ফিলিস্তিনি কয়েদিরা।
বন্দী স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করে মূলত ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় গর্ভধারণ করেন ফিলিস্তিনি নারীরা। এই প্রক্রিয়ায় সফলভাবে গর্ভধারণ করতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখেরও বেশি অর্থ খরচ হয়।
যেসব কয়েদি দীর্ঘ মেয়াদে সাজা ভোগ করছেন, সাধারণত তাঁদের শুক্রাণু সংগ্রহ করে স্ত্রীর গর্ভাশয়ে স্থাপন করার কাজটি করছে কতগুলো ফিলিস্তিনি ক্লিনিক। ফতোয়ার মাধ্যমে দেশটিতে এই প্রক্রিয়ায় সন্তান লাভের বিষয়টিকে বর্তমানে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।
তবে এভাবে জন্ম নেওয়া শিশুদের অবৈধ আখ্যা দিচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কারণ তারা দাবি করে, বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া শুক্রাণু পরিবহন করলে ক্লিনিক পর্যন্ত নিতে নিতে তা আর বেঁচে থাকে না। ফলে যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে, তারা অন্য কারও সন্তান।
ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনে প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছিল ২০১২ সালে।