স্থল অভিযানকে সামনে রেখে গাজার উত্তর অংশে বসবাস করা প্রায় ১১ লাখ মানুষকে দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। এ অবস্থায় উপত্যকার উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি সরে যায়। তারপরও গাজার উত্তর অংশে তিন থেকে চার লাখ মানুষ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস।
আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে লিন হেস্টিংস এই তথ্য দেন। তিনি আরও জানান, গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করছে; যা কি-না সামর্থ্যের তুলনায় আড়াই গুন বেশি।
গাজার বসবাস অঞ্চলগুলোর অর্ধেক বাড়ি-ঘরই ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে লিন জানান, আজ শুক্রবার উপত্যকায় সাহায্য পণ্য নিয়ে মাত্র ৮টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। এটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কারণ সংঘাত শুরু হওয়ার একদিন আগেও সেখানে সাড়ে চার শ ট্রাক প্রবেশ করেছিল। এ অবস্থায় গাজায় অবস্থান করা ফিলিস্তিনিরা খাদ্য ও পানীয়ের তীব্র সংকটে রয়েছে।
লিন বলেন, ‘যেখানেই মানুষ সীমাহীন প্রয়োজন নিয়ে বসবাস করছে সেখানেই আমাদের সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে।’
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে—গাজায় বিধ্বস্ত হওয়া বাড়ি-ঘরের ধ্বংসাবশেষের নিচে অন্তত ১ হাজার মরদেহ চাপা পড়ে আছে। গাজায় নিহত মানুষের যে পরিসংখ্যান দেখানো হচ্ছে তাতে ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়া মানুষদের সংখ্যা এখনো যোগ করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অধিকৃত গাজা উপত্যকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেছেন, ‘আমরা অনুমান করছি, ইট-কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনো সহস্রাধিক মানুষ চাপা পড়ে আছে; যাদের এখনো চিহ্নিত করা হয়নি।’