দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পর আরব লিগে ফিরল সিরিয়া। আজ রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিরিয়া সরকারকে আরব লিগে স্বাগত জানানো হয়েছে। ফলে ১১ বছর ধরে চলা স্থগিতাদেশের অবসান ঘটল। বছরের পর বছর বিচ্ছিন্নতার পর আরবের মূল স্রোতে প্রত্যাবর্তন করলেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
২০১১ সালের নভেম্বরে ২২ সদস্যের আরব লিগ দামেস্কের সদস্যপদ স্থগিত করে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আসাদ সরকারের দমন–পীড়নের প্রতিবাদে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ দ্রুতই সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়। এই সংঘাতে ৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অবকাঠামো এবং শিল্পকারখানা।
বর্তমানে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর বেশিরভাগই শান্ত। তবে এখনো দেশের উত্তরের বড় অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১২ বছরের সংঘাতের কোনও রাজনৈতিক সমাধান এখনও হয়নি।
আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, রোববার থেকে সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্রের সরকারি প্রতিনিধিরা আরব লিগের পরবর্তী বৈঠকগুলোতে অংশ নেওয়া শুরু করবেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আসাদ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশেষ করে আগামী ১৯ মে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠেয় আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে।
সংঘাতের প্রথম দিকেই বেশ কয়েকটি আরব দেশ দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। কেউ কেউ আসাদের মুণ্ডুর দাম ঘোষণা করে। কাতার এবং সৌদি আরবসহ কিছু দেশ সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের সমর্থন দেয়।
সর্বশেষ ২০১০ সালে আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ২০১৩ সালে দোহায় প্যান-আরব গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনে সিরিয়ার আসাদ বিরোধীরা যোগ দিয়েছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল দামেস্ক।